ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর ১৯টি হাটেই থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি

পশুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৪-০৬-২০২৫ ০৩:৪৭:০১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৪-০৬-২০২৫ ০৩:৪৭:০১ অপরাহ্ন
পশুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তা সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীজুড়ে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার মোট ১৯টি অস্থায়ী কোরবানির হাট বসেছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব হাটে ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৯টি হাট বসানো হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক যান চলাচল নিশ্চিত করতে এবছর মূল সড়কে হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিটি হাটেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। পাশপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ সদস্যরা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ‘মানি এসকর্ট’ সেবা চালু করেছে যাতে গরু কেনাবেচার সময় বড় অংকের টাকা নিরাপদে তোলা ও পরিবহন নিশ্চিত করা যায়।

ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাত আলী বলেন, ‘পুলিশের প্রত্যেক কন্ট্রোল রুমে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। ‘অজ্ঞান পার্টি’ হাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পশুবাহী যানবাহনে কিংবা হাটে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না।’ তিনি আরো জানান, চাঁদাবাজির যে কোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং জনসমাগম এলাকাগুলোতে পালন করবেন বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মাঠপর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি, টহল এবং সাইবার মনিটরিং জোরদার করেছে। বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইনতেখাব চৌধুরী জানান, ‘রাজধানীমুখী পশুবাহী যানবাহন নিরাপদ রাখতে মহাসড়কে র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং চাঁদাবাজি ঠেকাতে কাজ করা হচ্ছে।’তিনি আরো বলেন, ‘চলতি বছর অনলাইন হাট বেড়ে যাওয়ায় র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা অনলাইন প্রতারণা শনাক্ত ও প্রতিরোধে কাজ করছে।’নারী নিরাপত্তার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইনতেখাব চৌধুরী। তিনি বলেন, হাটে নারীদের হয়রানি রোধে মোবাইল কোর্টসহ বিভিন্ন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চলতি মৌসুমে কোরবানীর পশুর হাটে বড়ো অংকের টাকার লেনদেনের সময়ে জাল নোট ব্যবহারের ঝুঁকির বিষয়েও তিনি সতর্ক করেন। এজন্য জাল টাকা তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়া চক্রগুলোর ওপর কড়া নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাবের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। হাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনকে অনুমোদিত ‘হাসিল ফি’ তালিকা হাটের ‘হাসিল কক্ষ’-এ স্পষ্টভাবে প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছে র‌্যাব। উইং কমান্ডার ইনতেখাব বলেন, ‘অনুমোদিত হার ছাড়িয়ে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, ‘চাঁদাবাজির কৌশল হিসেবে এক হাট থেকে অন্য হাটে জোরপূর্বক পশু স্থানান্তরের দিকেও র‌্যাব কড়া নজর রাখবে।’ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো রাজধানীর কোরবানির হাটগুলোতে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও চাঁদাবাজিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ